ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ওয়াগনার যোদ্ধারা অস্ত্র হস্তান্তর করছে  : রাশিয়া

সিএনএন বাংলা ডেস্ক:

রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধারা তাদের অস্ত্র হস্তান্তর করছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সংক্ষিপ্ত সশস্ত্র বিদ্রোহের দুই সপ্তাহের বেশি সময় পর বুধবার মন্ত্রণালয় জানায়, ওয়াগনার যোদ্ধা অস্ত্র হস্তান্তর সম্পন্ন করছে।

 

এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ট্যাংক, রকেট এবং অন্যান্য ভারী অস্ত্রসহ দুই হাজারের বেশি সামরিক সরঞ্জাম ও আড়াই হাজার টন গোলাবারুদ ইতোমধ্যে হস্তান্তর করেছে ওয়াগনার।

রুশ মন্ত্রণালয়ের এই দাবি সঠিক হলে এটিই হবে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ থেকে ওয়াগনার যোদ্ধাদের সরে আসার প্রথম ও সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি সমঝোতার পর ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বিদ্রোহ প্রত্যাহার করেন। ২৩-২৪ জুন বিদ্রোহের সময় ভাড়াটে সেনারা দক্ষিণ রাশিয়ার শহর রোস্তভ-অন-ডন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল এবং মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় অজ্ঞাত সংখ্যক সামরিক হেলিকপ্টার গুলি করে সেগুলোর পাইলটদের হত্যা করে।

১৯৯৯ সালের শেষ দিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বিদ্রোহটি পুতিনের জন্য সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিদ্রোহের পর পুতিন এটিকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ এবং ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। এই বিদ্রোহ রাশিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা তৈরি করেছিল।

কিন্তু সমঝোতার ফলে এই বিদ্রোহের অবসান হয়। ক্রেমলিন বলেছিল, রক্তপাত এড়াতে প্রিগোজিন বেলারুশে নির্বাসিত হবেন এবং তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হবে। ওয়াগনার যোদ্ধাদের রাশিয়ার নিয়মিত বাহিনীতে যোগদান বা দেশে ফিরে যাওয়ার বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হবে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, অস্ত্র হস্তান্তর পরিকল্পনা অনুসারে হচ্ছে।

প্রিগোজিনের অবস্থানসহ সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়ে অনেক কিছু অস্পষ্ট। চলতি সপ্তাহে ক্রেমলিন বলেছে, বিদ্রোহের পাঁচ দিন পর ২৯ জুন প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিগোজিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পুতিন। ফ্লাইট-ট্র্যাকিং ডেটা অনুসারে, প্রিগোজিনের একটি উড়োজাহাজ মস্কো ছেড়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেলারুশের দিকে রওনা হয়েছিল, তবে তিনি তাতে ছিলেন কি না তা জানা যায়নি। সূত্রে- বার্তা সংস্থা রয়টার্স

এই বিদ্রোহের পর প্রিগোজিনের ওয়াগনার সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সিরিয়া, মালি এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কিছু অংশে ওয়াগনারের উপস্থিতি রয়েছে।

প্রিগোজিন দাবি করেছেন, সরকারকে উৎখাত করা বিদ্রোহের উদ্দেশ্য ছিল না। তাদের চেয়েছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানকে বিচারের আওতায় আনতে। সম্প্রতি এই দুজন নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে।

 

নুর মোহাম্মদ, সিএনএন বাংলা২৪