রিপোর্ট: এস.এম.জয়,বগুড়া
পরে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান আমির হোসেনের সভাপতিত্বে গ্রন্থাগার অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডিসি মোহাম্মদ আল মারুফ বলেন, পুস্তক সর্বদা মানবজীবনে আলোকবর্তিকা হয়ে ইতিবাচক পথ নির্দেশ করে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সবকিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে তবুও জীবনে এগিয়ে যেতে হলে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। তবে পাঠাগার গড়ার পাশাপাশি সকলকে বই পড়ায় প্রথমে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সারাবিশ্বের জ্ঞানার্জনের জন্যে বই হচ্ছে একজন মানুষের সবচেয়ে সেরা বন্ধু। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন এ্যাপসে অযথা সময় নষ্ট না করে প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের জন্য সকলকে বই পড়তে হবে।
সভায় আলোচক ছিলেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (বাংলা) ড. গাজী তৌহিদুল আলম চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা ইয়াসমিন, জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী এবং সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাভেদ আখতার।
সভায় বক্তারা জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে স্মার্ট গ্রন্থাগার, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিপাদ্যে জাতীয় জীবনে গ্রন্থাগারের ভূমিকা ও তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সকলকে মানবিকতা ও মননশীলতা চর্চার আহবান জানান।
আয়োজনে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি আবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক শহীদ-উল আজাদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর প্রধানগণ, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীসহ প্রায় তিন শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় পরবর্তীতে, দিবসটি’র উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাংকন, বইপাঠ ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ২৪ জন প্রতিযোগীর মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়।