চট্টগ্রাম ব্যুরো :
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার মানুষ আগে নৌকা-সাম্পানে কর্ণফুলী নদী পার হয়ে শহরে যাতায়াত করতেন। তবে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে মানুষ এখন যানবাহনে সরাসরি শহরে যাতায়াত করতে পারছেন।টানেল দেখানোর জন্য নগরের পতেঙ্গা ও আনোয়ারায় টানেলমুখী বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস সার্ভিস চালু হয়েছে। ৫০ থেকে ১০০ টাকা ভাড়ায় এসব যানবাহনে চড়ে টানেল ঘুরে আসছেন দর্শনার্থীরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সংযোগ সড়কের শেষ প্রান্ত মিলেছে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনীর পিএবি সড়কে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে বাসে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে দর্শনার্থীদের টানেল ঘুরিয়ে আনা হয়। এছাড়া আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে টানেল ঘুরে আসা যায়।সরেজমিন টানেলের আনোয়ারা ও পতেঙ্গা প্রান্ত ঘুরে দেখা যায়, টানেল সংযোগ সড়কে বন্ধের দিনগুলোতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাইভেট কার, হাইস, নোহা, পিকআপ ও বাসে করে পরিবার, পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে অনেকে ছুটে আসছেন টানেল দেখতে। নিয়ম না মেনে কেউ কেউ টানেলে টোল দেওয়ার পর সংযোগ সড়কে গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন।
আনোয়ারা প্রান্তের চাতরী চৌমুহনী এলাকায় বাস ও মিনি ট্রাক ৫০ টাকা, কার ও নোহা গাড়িতে ১০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করতে দেখা যায়। অপরদিকে কর্ণফুলী নদীর ১৫ নম্বর ঘাটে থাকা নৌকা-সাম্পানগুলো যাত্রী খড়ায় ভুগছে। কর্ণফুলী নদীর সাম্পান চালক সালাউদ্দিন বলেন, নদীর দুই পাড়ের চাকরিজীবী, গার্মেন্টস শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ কত মানুষকে সাম্পানে পার করিয়েছি- তার হিসাব নেই। এখন সবাই টানেলের ভিতর দিয়ে যাওয়া-আসা করে। আমাদের যাত্রী কমে গেছে।বাস চালক মো. জহির বলেন, টানেল দিয়ে ১০ মিনিটে শহরে যাওয়া যাচ্ছে। আগে শাহ আমানত সেতু দিয়ে শহরে যেতে অনেক সময় লাগতো। যানজটে কষ্ট হতো। শেখের বেটি সেই কষ্ট দূর করে দিয়েছে।
যাত্রীরা জানান, চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা সহজে শহর-গ্রামে যাতায়াতের সুযোগ পাওয়ায় সময় এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তের অদূরেই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গার বিমান যাত্রী এবং দেশে ফেরা বাসিন্দাদের বিমানবন্দর এবং বাড়ি দুটোই কাছের গন্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।টানেল প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাফিক) তানভীর রিফা বলেন, কয়েকটি দুর্ঘটনার কারণে আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করেছি। সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (বন্দর) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুই প্রান্তে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ৩ জন করে ৬ জন সার্জেন্ট এবং ১৮ জন কনস্টেবল কাজ করছে।
সূত্র: বাংলা নিউজ২৪