চীনের প্রথম অভ্যন্তরীণভাবে নির্মিত যাত্রীবাহী বিমান তার প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যাত্রা শুরু করেছে। রোববার (২৮ মে) ভোরে চীনা নগরী সাংহাই থেকে রাজধানী বেইজিংয়ের দিকে যাত্রা করে সি৯১৯ মডেলের এই বিমানটি।
এদিকে প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রায় চীনের এই বিমানে যাত্রী ছিল ১৩০ জনেরও বেশি। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের প্রথম অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত যাত্রীবাহী বিমান তার প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যাত্রা শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সি৯১৯ মডেলের এই বিমানটি রোববার ভোরে রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে যাওয়ার সময় সাংহাইয়ের আকাশে উড্ডয়ন করছে।
বিবিসি বলছে, ফ্রান্সের এয়ারবাস এবং যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির বিমানগুলোর একক আধিপত্য ভাঙার লক্ষ্য নিয়ে কমার্শিয়াল এভিয়েশন কর্পোরেশন অব চায়না (কম্যাক) এই বিমানটি তৈরি করেছে। কিন্তু ১৬৪ আসনের এই চীনা বিমানটি তৈরিতে ইঞ্জিন এবং এভিওনিক্সসহ পশ্চিমা উপাদানগুলোর ওপর অনেক বেশি নির্ভর করা হয়েছে।
রোববার সাংহাই থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ১৩০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল এবং মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছায় বিমানটি। পরে বেইজিং থেকে বিমানটির আবারও চীনা উপকূলীয় শহরে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
বিবিসি বলছে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাপুষ্ট চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন ইতোমধ্যে পাঁচটি বিমানের অর্ডার দিয়েছে। অন্যদিকে পাঁচ বছরের মধ্যে বার্ষিক ১৫০ টি প্লেন তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া কম্যাক বলছে, তারা ইতোমধ্যে সি৯১৯ মডেলের জন্য ১২০০টিরও বেশি অর্ডার পেয়েছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সি৯১৯ প্রকল্পটিকে চীনের অন্যতম উদ্ভাবনী সাফল্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।