ই-পেপার | শনিবার , ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কালুরঘাট সেতু তিন মাসের জন্য বন্ধ, ফেরী চলাচলে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

চট্টগ্রাম ব্যুরো ও বোয়ালখালী প্রতিনিধি:

জরাজীর্ণ শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে আজ থেকে। ফলে আগামী তিন মাস বন্ধ থাকবে সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন ও যানবাহন চলাচল। তবে সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমে যানবাহন চলাচল করবে। সংস্কার কাজের জন্য ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সেতু বন্ধ থাকার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ।

 

আগামী সেপ্টেম্বরে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের  জন্য জরুরি ভিত্তিতে  মেরামতের পর এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রথমবারের মতো ছুটবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার রুটের আধুনিক যাত্রীবাহী ট্রেন। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা বলেন, কালুরঘাট সেতু সংস্কার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১ আগস্ট থেকে সেতুর ডেকিং ডিসমেন্টলিং (খোলা) কাজ শুরু করবে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে সাইটে নির্মাণ সামগ্রী ও ইক্যুইপমেন্ট মোবিলাইজেশন শুরু করেছে।

সেতু সংস্কার ও নবায়নের পাশাপাশি পথচারীদের পারাপারের জন্য নতুন ভাবে পৃথক একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। মেরামত চলাকালীন সময়ে সেতু দিয়ে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। যানবাহন বিকল্প পথে চলাচলের জন্য আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ফেরি সার্ভিস চালু করেছে। ফেরি দিয়েও যানবাহন চলাচল করতে পারবে। ভারী যানবাহন গুলো শাহ আমানত সেতু দিয়েও যাতায়াত করতে করবে।

রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী সেতুটি মেরামতের জন্য গত ১৮ জুন রেলওয়ের সাথে ম্যাঙ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৫৫ কোটি টাকায় জরাজীর্ণ এই সেতু সংস্কার করে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তুলবে।

এই ব্যাপারে দোহাজারী–কঙবাজার রেল লাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুহম্মদ আবুল কালাম বলেন, দোহাজারী–কক্সবাজার রেল লাইনের ৮৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১০১ কিলোমিটার রেল লাইনের মধ্যে এই পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার রেল লাইন বসে গেছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে দোহাজারী–কঙবাজার রুটে আমরা ট্রেন চালু করবো। ডুলাহাজারা স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। দোহাজারী স্টেশনের কাজ আগস্টে শেষ হবে। উদ্বোধনের আগে চকরিয়া এবং রামু স্টেশনের কাজও শেষ হবে।

এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি সার্ভিস চালু করেছে। মোট তিনটি ফেরির ব্যবস্থা রয়েছে। ২টি ফেরি চলাচল করবে। আর ১টি ফেরি স্ট্যান্ডবাই  থাকবে।ফেরির টোলের হার নির্ধারণ করা হলেও টোল আদায়ের জন্য ইজারাদার পায়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এখন সওজের ব্যবস্থাপনায় টোল আদায় হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী।

তবে ফেরী চলাচলের প্রথম দিনই ব্যাপক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে এবং বৃষ্টি ও নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ফেরীর পাটাতন, মূল সড়ক ডুবে চরম বিড়ম্বনা ও দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে জনসাধারণকে। বিশেষ করে ঐ পথে বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দারা তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ জানিয়েছেন। তারা বলেন,চরম অব্যবস্থাপনার জন্য আমরা দূর্ভোগ পোয়াচ্ছি। তারা আরও বলেন, ৩ ফেরী চলাচলের কথা থাকলেও আজ সারাদিন মাত্র একটি ফেরী চলাচল করে।

 

নুর মোহাম্মদ, সিএনএন বাংলা২৪