সিএনএন বাংলা ডেস্ক:
রাজধানীর পল্লবীতে জহিরুল ও ফেরদৌস নামে দুই এসআইয়ের (উপ-পরিদর্শক) বিরুদ্ধে বৈশাখী (১৭) নামে এক কিশোরীকে শ্বাসরোধ ও নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । সোমবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে মিরপুরের কালশীর আদর্শ নগর ১১ নম্বর রোডের ২১ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের আটকে রেখে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।তবে পুলিশ বলছে, হত্যা নয়, মাদকবিরোধী অভিযান ব্যাহত করতে আত্মহত্যা করেছেন ওই কিশোরী।
এলাকাবাসীর দাবি, ২১ নম্বর চারতলা বাড়িটির মালিক লাভলী। তার বিরুদ্ধে দুটি মাদকের মামলা আছে। মাঝে মধ্যেই পল্লবী থানা পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে টাকা দাবি করে। গত রবিবারও এক লাখ টাকা নিয়ে গেছে পুলিশ। সোমবার লাভলীর বাসায় পুলিশ গিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা না দেয়ায় তাকে নির্যাতন করে।
রাজধানীর পল্লবীতে দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে তরুণীকে হত্যার অভিযোগে এলাকাবাসীর ক্ষোভ। বৈশাখীর মা লাভলী বলেন, পুলিশের এই দুই সদস্য বিভিন্ন অভিযানে জব্দ হওয়া মাদকদ্রব্য বিক্রির জন্য আমার মেয়েকে চাপ দিত। আগেও তাদের মাদক বিক্রি করে দিয়েছে। এবার মেয়ে রাজি না হওয়ায় আমাকে মারধর করেছে। মেয়েকে শ্বাসরোধে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে দাবি করে পুলিশ বলছে, অপরাধ প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা বলেছেন, তরুণীকে হত্যা নয় বরং পুলিশের অভিযান ব্যাহত করতে আত্মহত্যা করে বৈশাখী। বৈশাখী ও তার মা লাভলীর বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নুর মোহাম্মদ, সিএনএন বাংলা২৪