ই-পেপার | মঙ্গলবার , ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাপানে শিক্ষাগ্রহণে যাচ্ছেন জেডিএস বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা

সিএনএন বাংলা ডেস্ক:

জাপানিজ গ্র্যান্ট এইড ফর হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপের (জেডিএস) ২২তম মাস্টার্স ও ষষ্ঠ পিএইচডি ব্যাচের মোট ৩৩ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা জাপানে শিক্ষাগ্রহণে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ৩০ জন মাস্টার্স এবং তিনজন পিএইচডি করবেন।

 

আগামী আগস্ট মাসে তারা জাপানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন। এর আগে গত ১৯ জুলাই রাতে জাপান দূতাবাসে বৃত্তিপ্রাপ্তদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জাপানের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে তরুণ সরকারি কর্মকর্তাদের বৃত্তি দেওয়ার মধ্য দিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তা করছে জেডিএস প্রকল্প। গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট ফ্রেমওয়ার্কের আওতাধীন এ প্রকল্পটি জাইকার গ্র্যান্ট এইড স্কিমের অংশ।

জাইকা জানায়, এ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারীরা প্রোগ্রাম শেষ করে দেশে ফেরার পর নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে জাতির আর্থ-সামজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২০০২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৫২৫ জন সরকারি কর্মকর্তা জেডিএস বৃত্তি পেয়েছেন।

প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণ কর্মকর্তারা জাপানের সমাজ ও কাজের ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহে এবং লক্ষ্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানার সুযোগ পাবেন। প্রোগ্রামটি এমনভাবে তৈরি যেখানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ।

বিদায় অনুষ্ঠানে নিজ নিজ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং আমেরিকা ও জাপান উইংয়ের প্রধান একেএম শাহাবুদ্দিন এবং জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে। আরও ছিলেন জেডিএস অপারেটিং কমিটির সদস্যরা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারা, জেডিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা এবং ২২তম মাস্টার্স ও ষষ্ঠ পিএইচডি ব্যাচের জেডিএস ফেলোরা।

জেডিএস প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে হিরোশিমা ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জাপান, কেইও ইউনিভার্সিটি, কোবে ইউনিভার্সিটি, মেইজি ইউনিভার্সিটি, রিককিয়ো ইউনিভার্সিটি, রিতসুমেইকান ইউনিভার্সিটি, তসুকুবা ইউনিভার্সিটি, ইয়ামাগুচি ইউনিভার্সিটি ও ইয়োকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

 

নুর মোহাম্মদ, সিএনএন বাংলা২৪