ই-পেপার | রবিবার , ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঢাকা-দিল্লি-কাঠমান্ডুর বিদ্যুৎ চুক্তি জুলাইতেই

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি জুলাইতেই ঢাকা, দিল্লি ও কাঠমান্ডুর মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বিদ্যুৎ চুক্তি হতে যাচ্ছে। ভারতের পাওয়ার গ্রিডকে ব্যবহার করে নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ যাতে বাংলাদেশে আসতে পারে, সেই লক্ষ্যে এই আন্তর্জাতিক চুক্তি হবে। দিল্লির সরকারি কর্মকর্তা সূত্রে এমনটি জানা গেছে। সব কিছু ঠিকমতো এগোলে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ তিন দেশের মধ্যে চুক্তিটি সম্পাদিত হবে।

জানা গেছে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকুমার দাহাল (ওরফে প্রচন্ড) যখন ভারত সফরে আসেন, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার আলোচনায় প্রসঙ্গটি উঠেছিল। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রচন্ডকে কথা দিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ‘বৃহত্তর এনার্জি কানেক্টিভিটি’র স্বার্থে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশকে তাদের পাওয়ার গ্রিড ব্যবহার করার অনুমতি দেবে।

এর আগে বাংলাদেশ ও নেপাল এই বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে অপেক্ষা ছিল ভারতের সম্মতির। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে যেহেতু সরাসরি কোনও সীমান্ত নেই, তাই ভারতের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সম্ভবও নয়। ফলে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির সম্পাদনে এখন আর বিশেষ কোনও বাধা নেই।

নেপালের বিদ্যুৎ সচিব দীনেশ কুসার ঘিমির জাপানের নিক্কেই বার্তা সংস্থাকেও এমনটা জানিয়েছেন। তিনি জানান, চুক্তি সম্পাদনের পর শুরুতে তারা বাংলাদেশকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবেন। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যেই এর পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০০ মেগাওয়াট করা যাবে বলেও তারা আত্মবিশ্বাসী।

ভারতে পররাষ্ট্রনীতির বিশেষজ্ঞ ও শাসক বিজেপির ঘনিষ্ঠ তাত্ত্বিক শুভ্রকমল দত্ত গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘এই চুক্তিতে তিন দেশই যে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছে, তার কারণ তিনটি দেশই উপলব্ধি করেছে এটা সবার জন্যই একটা উইন-উইন সিচুয়েশন।’ আসন্ন এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে কীভাবে তিনটি দেশেরই লাভ হবে, সেটারও বিশদ ব্যাখ্যা করেছেন তিনি

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: