কক্সবাজার অফিস :
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত ছোয়াদকে মহেশখালী কালারমারছড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অপহরণে জড়িত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ সময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তিপণের ৪ লাখ টাকা, অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজিচালিত গাড়ি এবং ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন আনোয়ার সাদেক। তিনি ছোয়াদের বাড়ির ভাড়াটিয়া পুরাতন রোহিঙ্গা নাছেরকে সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করেন। এছাড়াও মাজুমার নেতৃত্বে উম্মে সালমা, শাহীন এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক নাসির আলম ছোয়াদকে অপহরণ করে।
অভিযুক্তরা ছোয়াদের মুক্তির জন্য ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তারা ভিকটিমের মাকে ফোন করে মুক্তিপণ না দিলে শিশুটিকে হত্যা করার হুমকিও দেয়। এ সময় পুলিশের অভিযানে অপহরণের ঘটনায় জড়িত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হল, মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের মনছুর আলমের ছেলে সালামত উল্লাহ প্রকাশ সোনাইয়া (৪৫), কালারমারছড়ার নয়াপাড়া এলাকার কালা মিয়ার ছেলে জহির আহমেদ (৬৫), শামসুল আলমের ছেলে হাসমুল করিম তোহা (২০), আব্দুর শুক্কুরের ছেলে মোহাম্মদ হাশেম (২৭), সৈয়দুল হকের স্ত্রী খাতিজাতুল কোবরা (৩৫)।
এছাড়াও টেকনাফের জাদিমুড়া এলাকার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে নাগু ডাকাত (৫৫) ও তার স্ত্রী আয়েশা বেগম এবং তাদের দুই ছেলে সাদেক (২১) ও রনি (১২), মোহম্মদ আলীর স্ত্রী লায়লা বেগম, মোহাম্মদ খানের স্ত্রী উম্মে সালমা, ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজী পাড়া এলাকার জাফর আলমের ছেলে মো. নাসির আলম (২৮), কালারমারছড়া সামিরাঘোনা এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ্ (১৯), একই এলাকার রহমত উল্লাহর ছেলে ফরিদুল আলম খান (৫২), সালামত উল্লাহর ছেলে আমির হোসেন, মহেশখালী কালারমারছড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শামসুল আলমের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম।
ওসি ওসমান গনি বলেন, আমরা অপহৃত ছয় বছরের শিশু ছোয়াদকে উদ্ধার ও অপহরণ চক্রের পুরো গ্যাংকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনার পরপরই শিশুটির মা টেকনাফ মডেল থানায় নারী ও শিশু দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।