ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেরিতে খাল খননের অভিযোগ, নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল

নিজস্বস প্রতিবেদক, তাড়াশ সিরাজগঞ্জ :

 

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধার জন্য সগুনা ইউনিয়নের বিন্নাবাড়ী আমতলা কাটা খাল ভায়া কুন্দইল সেতু খাল খননের টেন্ডার পাশ হয়। কার্যাদেশের ৫ মাস পর কাজ শুরু করায় খননকৃত মাটি ধসে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ভুক্তভোগী কৃষকরা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, খালটি ২ মাস আগে খনন করা হলে তাদের ফসলের ক্ষতি হত না।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভেকু মেশিন (এক্সকাভেটর) দিয়ে খাল খনন করা হচ্ছে। খালের দুইপাশে উঁচু করে রাখা মাটির স্তূপ। এসব মাটির খন্ড পড়ছে আশেপাশের বোরো ধান ও ভুট্টার জমিতে। ফলে, ২৬০০ মিটার খালের কোলঘেষে জমি আছে এমন কৃষকের ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।

 

উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক জানান, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের ২০ তারিখে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আকাশ ট্রেডাসের সত্ত্বাধিকারী মো. আনোয়ার হোসেনকে বিন্নাবাড়ী আমতলা কাটা খাল ভায়া কুন্দইল সেতু খাল খননের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের ১ তারিখে খনন কাজ আরম্ভ ও ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মৌখিকভাবে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও ঠিকাদার কাজ আরম্ভ করতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে তাকে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখে একটি সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয় সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখে অনুরূপ আরও একটি নোটিশ দেওয়া হয় উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে।

 

সগুনা ইউনিয়নের কাটাবাড়ী গ্রামের কৃষক আইয়ূব আলী বলেন, খালের ধারে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করা ছিল আমার। তার মধ্যে প্রায় ১২ কাঠা জমির ফসল খালপাড়ের মাটির নিচে পড়ে গেছে।

 

কুন্দইল গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার কৃষক রসুল বলেন, আমি আবাদি জমি থেকে ধান গাছ তুলে সরিয়ে নিয়েছি। নয়ত সব মাটিচাপা পড়ে যেত।

 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আকাশ ট্রেডাসের সত্ত্বাধিকারী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যস্ততার কারণে আমি কার্যাদেশ মোতাবেক খনন শুরু করতে পারিনি।

 

সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, খালের তলা গভীর করে খনন করা হচ্ছে পানি ধরে রাখার জন্য। ফলে মাটি বেশি পড়ছে খালপাড়ে। অতিরিক্ত মাটি বেচে সরকারি খাতে টাকা জমা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।