ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫০ একর বনভূমি উদ্ধার বিষয়ে ইসলামপুরের হাকিম আলির ব্যাখ্যা 

নিজস্ব সংবাদদাতা :

 

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ‘ইসলামপুরে হাকিম ও তার লোকজনের কবল থেকে ৫০ একর বনভূমি উদ্ধার’ বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হাকিম আলি। তিনি জানান, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের নাপিতখালি বিটে বাফার জোন বাগান করার জন্য ২০০৫-২০০৬ সালে দশটি গ্রুপকে ১০০ হেক্টর বনভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখানে প্রতিটি গ্রুপকে ১০ হেক্টরের প্লট থেকে প্রতিজনের নামে বরাদ্দ দেয়া হয় এক হেক্টর করে। সেখানে ৪ নম্বর গ্রুপের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

 

হাকিম আলি জানান, ২০১২-২০১৩ সালের দিকে তাদের নিকট বরাদ্দ দেয়া প্লটের চারা গাছ কেটে, ধ্বংস করে সেখানে পুনরায় প্লট বরাদ্দ ও নতুন করে চারা রোপণের প্রক্রিয়া শুরু করে বনবিভাগ। এর প্রতিকার চেয়ে ২০১৩ সালের ৬ জুন বনবিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিই। পরে বিগত ২০২২ সালের ৬ জুলাই আমাদের নামে বরাদ্দকৃত প্লট সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে সীমানা চিহ্নিত করে দেওয়ার জন্য কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করি। ডিএফও বিষয়টি কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক ড. প্রান্তোষ চন্দ্র রায়কে দায়িত্ব দেন। তিনি রেঞ্জ কর্মকর্তাকে এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেন। পরে রেঞ্জ কর্মকর্তা দায়িত্ব দেন নাপিতখালির বিট কর্মকর্তাকে।

 

হাকিম আলি বলেন, ‘সরকার বিগত ২০০৬ সালে চুক্তিনামার মাধ্যমে ১০ হেক্টর বনভূমি আমাদের নামে বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা নিজেরা শ্রম দিয়ে, বেতন দিয়ে পাহারাদার রেখে প্লট ও বনজ সম্পদ রক্ষা করে আসছি। সেখানে বনভূমি দখল, বনজ সম্পদ ধ্বংস ও বিক্রির প্রশ্নই আসেনা।’

 

তাঁর দাবি, যারা রাতদিন বনজ সম্পদ উজাড় করছে, জবরদখল করে ভিটে ও মাটি বিক্রি করছে, যারা অসংখ্য বন মামলার আসামি, যারা নির্বিচারে পাহাড় কাটার সাথে জড়িত তারাই বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওই চক্রটি নিজেদের নানান অপকর্ম আড়াল করতে, নিজেরা সাধু সেজে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানি করছে।

 

তিনি বিভিন্নভাবে প্রচারিত-প্রকাশিত সাজানো, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি সকলকে এবিষয়ে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।