আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস নেতাদের পাশাপাশি মধ্যস্থতাকারীরা মিশরের রাজধানী কায়রোতে পৌঁছেছেন। আলোচনায় যোগ দেওয়ার আগে ইসরায়েল জিম্মিদের বিষয়ে জানতে চাইছে।
নাম প্রকাশ না করা মার্কিন এক কর্মকর্তা বলছেন, ইসরায়েল চুক্তিটি ‘কমবেশি’ মেনে নিয়েছে। তবে ইসরায়েলি মিডিয়া বলছে, জিম্মিদের মধ্যে কারা বেঁচে আছে, তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হামাস। তাই ইসরায়েল আলোচনায় যোগ দেবে না।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে আরও ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময় হবে।
অবরুদ্ধ উপত্যকার উত্তর দিকের গাজা সিটির পাশে বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলায় ১১২ জনের প্রাণ যায়। এই ঘটনার পর যুদ্ধবিরতির চুক্তির জন্য চাপ ক্রমশ বাড়ছে।
হামাস বলছে, খাবার নিতে আসা বেসামরিকদের ওপর হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে। তবে ইসরায়েল তা অস্বীকার করেছে এবং রোববার বলেছে, প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তাদের সৈন্যরা বেশ কয়েকজনকে গুলি করে। তবে বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটেছে মানুষের চাপাচাপিতে।
কাতারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসা মিশরের কর্মকর্তারা বলছেন, হামাস ও ইসরায়েল উভয়ের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
হামাস জানিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে। গোষ্ঠীটির একটি সূত্র মিশরীয় গণমাধ্যমকে বলেছে যে, ইসরায়েল তাদের দাবি মেনে নেওয়ার ওপর চুক্তি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে।
জ্যেষ্ঠ এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন ইসরাইয়েল তাদের পক্ষ থেকে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির কাঠামোর জন্য ‘মূলত সম্মত’ হয়েছে।
হামাসের বন্দুকধারীরা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে প্রায় এক হাজার ২০০ লোকের প্রাণ যায়। একইসঙ্গে বন্দুকধারীরা ২৫৩ জনকে গাজায় এনে জিম্মি করে। এরপর ইসরায়েল হামাসশাসিত গাজায় বিমান হামলা এবং পরে স্থল হামলা শুরু করে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ৪১০ জনের প্রাণ গেছে। এর মধ্যে ২১ হাজারই নারী ও শিশু। সাত হাজারের মতো বাসিন্দা নিখোঁজ রয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৭১ হাজার ৭০০ জন।