ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কঠিন চ্যালেঞ্জে দেশীয় শিল্প: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

সিএনএনবাংলা২৪,ডেস্ক: রিপোর্ট

ঢাকা: দেশের শিল্পখাত চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে পণ্যের চাহিদা কমায় সব প্রতিষ্ঠানের সেলস ড্রপ করেছে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান তার ৬০-৭০ শতাংশ সক্ষমতায় চলছে।

 

গ্যাসের চাপ কম, ঋণের উচ্চ সুদহারের সঙ্গে ব্যাংকগুলোও উপযুক্ত সাপোর্ট দিতে পারছে না। সবকিছু মিলিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দেশীয় শিল্প।

 

রোববার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরীর (পারভেজ) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসব কথা বলে। এ সময় প্রতিমন্ত্রীকে বিসিআই পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা এবং বিসিআইয়ের ‘আমার পণ্য আমার দেশ’ লোগো সংবলিত একটি ফ্রেম উপহার দেওয়া হয়।

 

ব্যবসায়ী নেতারা এ সময় বলেন, সরকারের এখন প্রধান লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশে নিয়ে আসা। আমরা মনে করি মুদ্রাস্ফীতির সময় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কর্মসংস্থান ধরে রাখা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতির কারণে ব্যাংকগুলো বন্ডে বিনিয়োগের দিকে উৎসাহিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দেবে। নতুন বিনিয়োগ আসবে না। বেকারত্বের হার বাড়বে। আমাদের এখন বর্তমান শিল্পগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আপনার কাছে অনুরোধ করবো, দেশের শিল্পগুলোর ক্যাশফ্লো যেন স্বাভাবিক থাকে। আর একটা বিষয় হলো, ইপিবি ও এনবিআরের রপ্তানি তথ্যের মধ্যে একটি গরমিল আছে, এগুলো যেন ঠিক করা হয়।

 

সাক্ষাৎকালে বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় বিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আমরা আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আপনার দৃশ্যমান বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার নানামুখী উদ্যোগে সামনে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

 

প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বিসিআই নেতাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট জুনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। শিল্পের জন্য তারল্য সংকট যতটা ধারণা করা হচ্ছে ততটা থাকবে না। আমার রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য দেশের বাইরের ফান্ডে ৫ বিলিয়ন ডলারের একটা ফান্ড গঠন করার চেষ্টা করছি। আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকা এবং ঢাকার আশেপাশের শিল্প এলাকার শিল্প শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় এনে টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে ৫-৬ টা নিত্য পণ্য দিতে চাই এ ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা দরকার হবে।

সভায় বিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুসসহ পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।