শহিদুল ইসলাম, কুতুবদিয়া :
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রকল্পসমূহে বীমা নিরাপত্তা নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে বৈশ্বিক প্রতিবাদ সপ্তাহ (২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ০৩ মার্চ ২০২৪) উদযাপনের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক জাতীয় সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং কুতুবদিয়া দ্বীপ সুরক্ষা আন্দোলন (কেডিএস) এর যৌথ উদ্যােগে নাগরিক সমাবেশ ও সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ মার্চ (শুক্রবার) সকাল ১০ টায় জীবাশ্ম জ্বালানি নয় বরং আমাদের ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চেয়ে পৃথিবীব্যাপি গ্লোবাল উইক অফ অ্যাকশন-এর সাথে একাত্মতা পোষণ করে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বায়ুবিদ্যুৎ এলাকা থেকে র্যালি শুরু হয়ে ধুরুং বাজার প্রদক্ষিণ করে শেষে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে বেলা ১২ টার সময় এক নাগরিক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর আহবায়ক এম,শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব শাহেদুল ইসলাম মনির এবং যুগ্ম সদস্য সচিব মাস্টার মিজানুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, দৈনিক জনকণ্ঠের কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি এম এ হাছান কুতুবী, দৈনিক দেশবিদেশের কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি এসকে লিটন কুতুবী, যুগ্ম আহবায়ক মাষ্টার আমিনুল হকসহ সংগঠনের সদস্যরা।
এসময় ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর আহবায়ক এম,শহীদুল ইসলাম বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্পগুলোতে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থায়নকারী ও অন্যান্য সুবিধাভোগীদের অর্থৈনৈতিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে কিংবা অপরিচ্ছন্ন জ্বালানিভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থায়নের ঝুঁকির দায়িত্ব গ্রহণ করতে কাজ করে এই বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো। এই ধরণের দায় গ্রহণকে বলা হয় সম্পত্তি ও দূর্ঘটনা (property and casuality) বীমা। ইতোমধ্যে, ২০২৩ সালের মধ্যে ৪৫টি বীমা প্রতিষ্ঠান জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগটি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বের হয়ে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক বীমা কোম্পানি এখনও জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন অব্যাহত রেখেছে। বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো এমন গুরুত্ব থাকার কারণে তারা যদি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্পগুলোতে বীমা প্রদান বন্ধ করে তাহলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোও এই ক্ষতিকর খাতে অর্থায়ন করতে আগ্রহী হবে না মনে করেন তিনি।