ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রলোভনে পড়ে তামাক চাষ, জমির সর্বনাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রাম: লোহাগাড়া উপজেলায় গত বছর ৪ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছিল। এ বছর তা চারগুণ বেড়েছে।

টোব্যাকো কোম্পানিগুলো অগ্রিম টাকা ও প্রলোভন দেখিয়ে চাষিদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। এতে উর্বরতা হারাচ্ছে জমি।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, লোহাগাড়া উপজেলার ১৭ হেক্টর জমিতে এ বছর তামাক চাষ হয়েছে। বড়হাতিয়া, পদুয়া, আমিরাবাদ, কলাউজান, পুটিবিলা ও চুনতি ইউনিয়নে অন্যান্য ফসলের চাষ বাদ দিয়ে চাষিরা তামাক চাষে ঝুঁকে পড়েছে।

 

জানা গেছে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, জাপান টোব্যাকো কোম্পানিসহ বিভিন্ন সিগারেট ও জর্দা কোম্পানি তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে কৃষকদের অগ্রিম টাকা, বীজ, সার দিয়ে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। চাষিরা তাদের উৎপাদিত তামাক মহাজনের গুদামে জমা করেন। টোব্যাকো কোম্পানির প্রতিনিধিরা তামাকের জাত বা ধরন দেখে দাম নির্ধারণ করেন। জাতি তালিম তামাক প্রতি মণ ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা, বিলাতি মতিহার জাতের তামাক দুই হাজার ১০০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

তামাক চাষিরা জানান, স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা জেনেও বেশি লাভের আশায় তারা তামাক চাষের দিকে ঝুঁকছেন। একবার ফসলের জন্য ৬-৮ মাস সময় দিতে হয়। বড়হাতিয়া গ্রামের চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও তামাক চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। অল্প খরচে কম সময়ে এই ফসল ঘরে তোলা যায়। বাজারে দামও ভালো পাওয়া যায়।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাজী শফিউল ইসলাম বলেন, টোব্যাকো কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সুযোগ দিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে চাষিদের তামাক চাষে উৎসাহিত করছে। এতে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে, পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা সভা ডেকে চাষিদের এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছি।