বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের উখিয়া ও বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনা ও বিদ্রোহীদের গোলাগুলিতে বার বার ছুটে আসছে মর্টার শেল ও বুলেট। এতে ভয়ে আতঙ্কে ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অস্থান নিচ্ছেন সীমান্তের অনেকগুলো পরিবার।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সীমান্ত এলাকার ৫টি স্কুল ও তিনটি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয় বলে জানা গেছে। বর্তমানে নাইক্ষংছড়ির উপজেলার ঘুমধুম তুমব্রু ও কক্সবাজারের মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে চলমান ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে উত্তেজনার কারণে ভাজাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাইশফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও এলাকার তিনটি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি সীমান্তের কোনারপাড়া, তুমব্রু, তুমব্রুবাজার, মধ্যমপাড়া, ভাজাবুনিয়া স্কুল পাড়া, হেডম্যানপাড়া ও বাইশফাঁড়ির অনেক লোক মিয়ানমার সেনা ও বিদ্রোহীদের মর্টার শেল ও বুলেট আতঙ্কে ঘর বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন শতাধিক পরিবার।
বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনা ও বিদ্রোহীদের মর্টার শেল ও বুলেট আতঙ্কের কারণে পাঁচটি প্রাইমারি স্কুল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুলগুলোর পাঠদান আবার চালু করা হবে।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যান্তরে গোলাগুলির প্রভাবের কারণে পাঁচটি প্রাইমারি স্কুল ও তিনটি মাদ্রাসা দুপুরের পরে ছুটি দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুল ও মাদ্রাসা গুলি আবার খোলা থকবে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মিয়ানমার আর্মি (বিজিপি) এবং আরাকান আর্মির মধ্যকার চলমান সংঘর্ষের সময় গত ২৭ জানুয়ারি মিয়ানমার থেকে ফায়ারকৃত ১৩টি মর্টার শেল এবং ১ রাউন্ড বুলেট কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে। ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি তাৎক্ষণিক বিজিপিকে প্রতিবাদ লিপি পাঠায়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজিবির মহাপরিচালক গত ২৮ জানুয়ারি মিয়ানমারের ফায়ারকৃত মর্টার শেল এবং বুলেট বাংলাদেশে পতিত হওয়ার স্থান পরিদর্শন এবং পর্যবেক্ষণ করেন।