সালেহ আহমদ স’লিপক:
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় বিগত পাঁচ বৎসরে ১৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১শত সাড়ে ১৭ কোটি টাকার কাজ এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় প্রকল্পের কাজের ৯৮ ভাগ সমাপ্তি হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। প্রকল্পগুলো হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠমো উন্নয়ন প্রকল্প, রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট-২, গ্রাম সড়ক পূনর্বাসন প্রকল্প, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কে অনুর্ধ্ব ১০০ মিঃ সেতু নির্মাণ প্রকল্প, দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবোকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, উপজেলা কমপ্লেক সম্প্রসারন প্রকল্প (২য় পর্যায়), ভবন মেরামত ও সংরক্ষন কাজের বরাদ্ধপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন মেরামত, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প, পল্লী সড়ক কালভার্ট মেরামত কর্মসূচী, এনবিআইডিজিপিএস, এনবিআইডিএনএনজিপিএস, পিইডিপি-৪ এর ১৩ প্রকল্পের অধীনে মোট কাজের সংখ্যা ৮২টি নিস্পত্তির দিকে।
সামি এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী আব্দুল মোমিত বলেন, সদরে ৪টি স্কুল করেছি। ষোল আনা কাজ করতে হয়েছে। ভুলবশত কিছু হয়ে গেলে আবারও কাজ করতে হয়েছে।
আলো এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মোঃ উজ্জল বলেন, আমি একটি রাস্তা ও ২টি স্কুল করেছি। এলজিডি সদর প্রকৌশলীর সহয়োগীতা পেয়েছি। তবে কাজের একটু উনিশ বিশ হলেই একটুও ছাড় পাইনি, এটাই আমার দুঃখ।
মোঃ মবশ্বির আহমদ বলেন, উপজেলা এলজিডি এর কাজে আমি লাভবান হতে পারিনি। কাজ উঠাতে গিয়ে আমাকে ১০০% কাজ করতে হয়েছে।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরী জানান, এলজিইডি বর্তমানে সবচয়ে বড় একটি ডিপার্টমেন্ট। এখানে যেমন কাজ বেশি, তেমনি প্রতিটি কাজের গুণগত মান এবং পরিমান ও পরিমাপ নিখুঁত ভাবে বজায় রেখে বাস্তবায়ন করতে হয়। এখানে দরপত্র আহবান করা হয় ইজিপি এর মাধ্যমে যা শতভাগ নিরপেক্ষতার মধ্যদিয়ে কাজ করতে হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী আরো জানান, সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই আমাদের প্রধান কাজ। প্রতিটি কাজ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক বিবেচনা করে শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হয়।