ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুলাইমান আ.-এর রাজত্ব যেমন ছিল

ধর্ম ডেস্ক :
সুলাইমান আলাইহিস সালাম ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ নবী। আল্লাহ তায়ালা তাকে নবুওয়তের পাশাপাশি বিশাল রাজত্ব দান করেছিলেন। তিনি ছিলেন হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের সন্তান। এই দুই নবী হজরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের বংশধর।

হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের ১৯ জন ছেলের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হজরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম। মহান আল্লাহ পাক তাকে জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও নবুয়তের সম্পদে সমৃদ্ধ করেছিলেন। হজরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তার পিতা হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের মৃত্যুর পর তার স্থলাভিষিক্ত হন।

হজরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম ১৩ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৫৩ বছর। অর্থাৎ তার রাজত্ত্বকালের সময় ছিল দীর্ঘ ৪০ বছর।

সুলামাইমান আলাইহিস সালামের রাজত্ব শামের (সিরিয়া) পবিত্র ভূমিতে ছিল বলে মতামত দিয়েছেন মুফাসসিররা।
সুলাইমান আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য দান করেছিলেন। মানব, দানব, জিন, পশু-পাখি সব কিছুর ওপর তার আধিপত্য ছিল।

সুলাইমান আলাইহিস সালামের প্রতি আল্লাহর বিশেষ নিয়মাত ও বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-

>> বায়ু প্রবাহ অনুগত হওয়া। আল্লাহ বলেন- ‘আর আমি বায়ুকে সুলাইমানের অধীন করেছিলাম, যা সকালে এক মাসের পথ এবং বিকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করতো। (সুরা সাবা : আয়াত ১২)

>> ‘তামা’কে তরল ধাতুতে পরিণত করে নহর প্রবাহিত করা। আল্লাহ বলেন- ‘আমি তার জন্যে গলিত তামার এক ঝরণা প্রবাহিত করেছিলাম।’ (সুরা সাবা : আয়াত ১২)

>> জিন জাতি তার অধীনস্ত হওয়া। আল্লাহ বলেন- ‘কতক জিন তার সামনে কাজ করত তার পালনকর্তার আদেশে। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করবে, আমি জ্বলন্ত অগ্নির-শাস্তি আস্বাদন করাব।’ (সুরা সাবা : আয়াত ১২)

>> পক্ষীকূলকে অনুগত করা। আল্লাহ বলেন- ‘সুলায়মান দাউদের উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে লোক সকল! আমাকে উড়ন্ত পক্ষীকূলের ভাষা শিক্ষা দেয়া হয়েছে এবং আমাকে সব কিছু দেয়া হয়েছে। নিশ্চয় এটা সুস্পষ্ট শ্রেষ্ঠত্ব।’ (সুরা নমল : আয়াত ১৬)

>> পিপীলিকার ভাষা বুঝার ক্ষমতা। আল্লাহ বলেন, ‘যখন তারা পিপীলিকা অধ্যূষিত উপত্যকায় পৌঁছলো, তখন এক পিপীলিকা বলল, হে পিপীলিকার দল! তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর। অন্যথায় সুলায়মান ও তার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পিষ্ট করে ফেলবে। তার কথা শুনে সুলায়মান মুচকি হাসলেন এবং বললেন, হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমাকে সামর্থø দাও যাতে আমি তোমার সেই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, যা তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দান করেছ।’ (সুরা নমল : আয়াত ১৮-১৯)

>> অতুলনীয় সাম্রাজ্য লাভ। আল্লাহ বলেন, ‘সোলায়মান বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে এমন সাম্রাজ্য দান করুন যা আমার পরে আর কেউ পেতে পারবে না। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। (সুরা ছোয়াদ : আয়াত ৩৫)

>> প্রাপ্ত অনুগ্রহ রাজির হিসাব না রাখার অনুমতি পাওয়া। আল্লাহ বলেন, ‘এবং অন্য আরও অনেককে অধীন করে দিলাম, যারা আবদ্ধ থাকত শৃঙ্খলে। এগুলো আমার অনুগ্রহ, অতএব, এগুলো কাউকে দাও অথবা নিজে রেখে দাও-এর কোন হিসেব দিতে হবে না। (সুরা ছোয়াদ : আয়াত ৩৯-৪০)