ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপি-জামায়াতের ১৩৫ জনের সাজা

নিজস্ব প্রতিবেদক , ঢাকা :

ঢাকার তুরাগ, রামপুরা, মিরপুর, হাজারীবাগ ও বংশাল থানায় নাশকতার অভিযোগে করা পাঁচ মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১৩৫ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ রায় দেওয়া হয়। তুরাগ থানার মামলায় ৯৩ জনের সাজা: পাঁচ বছর আগে রাজধানীর তুরাগ থানায় করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ৯৩ নেতাকর্মীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে চার হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শেখ সাদী এ রায় দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তুরাগ থানা এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় নাশকতার অভিযোগ তুলে তুরাগ থানায় মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ৯৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

রামপুরা থানার মামলায় জামায়াতের ১৩ জনকে কারাদণ্ড: পাঁচ বছর আগে রাজধানীর রামপুরা থানায় করা নাশকতার মামলায় জামায়াতে ইসলামীর ১৩ নেতাকর্মীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন আব্দুল কাদের, ডা. খান মতিউর রহমান, মো. লোকমান খান, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. মাইনউদ্দিন, মো. আহসান হাবিব, মো. আব্দুল কাইউম, মো. ইকবাল কবির নিপু, সাখাওয়াত হোসেন রিফাত, মো. মিজানুর রহমান গালিব, মো. আজিজুল্লাহ ভূঁইয়া, মো. সালেহ আহমেদ ও লুৎফর রহমান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে নাশকতার অভিযোগে রামপুরা থানায় স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মিরপুর থানার মামলায় ৮ জনের জেল : রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা নাশকতার মামলায় আট বিএনপি নেতাকর্মীকে দুই ধারায় আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারায় সাজা একত্রে চলায় তাদের দুই বছর করে কারাভোগ করতে হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রায় দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. ইমরান, মো. আ. কুদ্দুস, মো. মিজানুর রহমান, আসিফ হোসেন রানা, মো. আমির হোসেন, মো. কামরুল ইসলাম, মো. আক্তার হোসেন ও মানিক দত্ত।

এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মিরপুর এলাকায় বিএনপির মিছিল থেকে নাশকতা করার অভিযোগে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর মামলাটি করে পুলিশ। মামলার চার্জশিটভ্ক্তু আসামি ছিলেন ১০ জন।

হাজারীবাগ থানার মামলায় ৬ জনের সাজা: ১৩ বছর আগে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে দুই ধারায় দেড় বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।

মামলাটিতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত বাকি ৫১ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবির এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মো. আব্দুল লতিফ, মো. আজিজ, মো. ছানাউল্লাহ, মো. হাসু মিয়া, স্বপন ও আবুল খায়ের লিটন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের নভেম্বরে নাশকতার অভিযোগে হাজারীবাগ থানায় মামলাটি করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ৫৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।

বংশাল থানার মামলায় ১৫ জনের কারাদণ্ড: এক দশক আগে পুরান ঢাকার বংশাল থানায় করা মামলায় ১৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার চার্জশিটভুক্ত বাকি ৪৭ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলাটির রায় ঘোষণা করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, হরতালে নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে বংশাল থানায় মামলাটি করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ৬২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে ১৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।