স্পোর্টস ডেস্ক :
বিতর্কের আরেক নাম যেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কখনো বোর্ড প্রেসিডেন্ট, কখনো বা নির্বাচক, কোনো না কোনো ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই আছে দেশটির ক্রিকেটে। আর ক্রিকেটারদের মাঝে কোন্দলের খবরটাও যে একেবারেই নিয়মিত। সম্প্রতি সেটা বেড়েছিল প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজের সূত্র ধরে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে হারিস রউফ শেষ সময়ে এসে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন, এমন মন্তব্য করেছিলেন ওয়াহাব।
বিপরীতে হারিস জানিয়েছিলেন, অজিদের বিপক্ষে খেলা নিয়ে কোনো প্রতিশ্রুতিই তিনি দেননি। মাত্র ১ টেস্ট খেলা হারিস চেয়েছেন সাদা বলে বেশি নজর দিতে। যে কারণে অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া ক্রিকেটের বড় আসর বিগ ব্যাশে খেলতে চেয়েছিলেন এই ফাস্ট বোলার। তবে পাকিস্তানের নির্বাচক ওয়াহাবের কথা ছিল স্পষ্ট। সবার আগে দেশকেই প্রাধান্য দিতে হবে। এমনকি বিগ ব্যাশে হারিস খেলতে যেতে পারবেন কিনা তাও ঝুলিয়ে রেখেছিল পিসিবি। পাকিস্তানের ঘরয়া টি-টোয়েন্টি আসরের পরেই কেবল অনুমতি পাওয়া যাবে এমন কথাও উঠেছিল জোরেশরে। আবার পাকিস্তানের বোর্ড প্রেসিডেন্ট জাকা আশরাফ বলেছিলেন, পিএসএলের বাইরে কেবল একটিমাত্র লিগেই খেলার অনুমতি পাবেন ক্রিকেটাররা।
পুরো বিষয় নিয়ে এত জলঘোলা করার পর অবশেষে বিগ ব্যাশ শুরুর আগেই বোর্ড থেকে অনাপত্তিপত্র বা এনওসি দেওয়া হলো হারিস রউফকে। তার সঙ্গে এনওসি পেয়েছেন উসামা মীর এবং জামান খান। তাদের বক্তব্য, সব পক্ষের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতেই এই সিদ্ধান্ত। বিবৃতিতে পিসিবি বলেছে, ‘হারিস রউফ, জামান খান এবং উসামা মিরকে বিবিএল খেলার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেটারদের চাপ এবং জাতীয় দলের সূচি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রিকেটের সব পক্ষের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে চায় পিসিবি। যদিও ক্রিকেটারদের ম্যাচ খেলার সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ভারতের মাটিতে সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে সেরা ফর্মে ছিলেন না রউফ। প্রচুর রান দিয়েছেন প্রায় সব ম্যাচেই। স্বাভাবিক ভাবে কম সমালোচনা হয়নি তাকে নিয়ে। সেই বিতর্কটা আরও উসকে দিয়েছে তার সাদা পোশাকের ক্রিকেটে আপত্তির কথায়। তার পরেও অবশ্য পাকিস্তান ছাড় দিয়েছে তাদের।