সিএনএন ক্রীড়া :
ফুটবল যদি একটি মহাবিশ্ব হতো আর সে মহাবিশ্বের যদি অসংখ্য গ্রহ-নক্ষত্র থেকে থাকে তাহলে সব গ্রহ-নক্ষত্রকে এবার জয় করে ফেললেন লিওনেল মেসি।এর আগে সাতবার ব্যালন ডি’অর জয়ের পর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোর থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছিলেন মেসি। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর ৮ম ব্যালন ডি’অর জয় অনেকাংশেই নিশ্চিত করে ফেলছিলেন এই ফুটবল জাদুকর। সেটার জন্যেই দীর্ঘ প্রায় ১১ মাসের অপেক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত সোনালি বলটি উঠলো লিওনেল মেসির হাতে।রোজারিওর সেই ছোট্ট মেসি যখন গ্রোথ হরমোনের কারণে খেলাটাই ছেড়ে দিতে যাবেন তখনই বার্সেলোনা যেন আশীর্বাদ হয়ে আসে। তাই তো সেই স্বপ্নের ক্লাবকে আজও মনে প্রাণে ধারণ করেন, এখনো মনের গহীনে সুপ্ত বাসনা ঈপ্সিত থাকে বার্সেলোনায় ফেরার।
বার্সায় ফিরতে না পারলেও মেসি যে ইন্টার মিয়ামিতে দারুণ খুশি তা তার খেলাতেই স্পষ্ট। এমএলএস ক্লাবটিকে এনে দিয়েছেন ক্লাবটির ইতিহাসের প্রথম শিরোপা।মেসির অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয়ে ফিকে হয়ে গেলো নরওয়ের স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডের স্বপ্নের মতো কাটানো মৌসুমটি। ট্রেবল জয়ের পাশাপাশি ইউরোপের গোল্ডেন বুটও ছিল তার ঝুলিতে। ২৩ বছর বয়সী এই গোল মেশিন গত মৌসুমে সব ধরণের প্রতিযোগিতায় ৫৩ গোল করেছেন। কিন্তু এক বিশ্বকাপের কাছে যে সবকিছুই অর্থহীন।
ব্যালন ডি’অর যে সময়ের বিবেচনায় দেয়া হয় সেই সময়টায় মেসি জিতেছেন বিশ্বকাপ ট্রফি, জিতেছেন বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল। এছাড়া ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারও হয়েছেন তিনি। তাছাড়া ফ্রেঞ্চ লিগ, ট্রফি দিস চ্যাম্পিয়নস, লরিস স্পোর্টসম্যান অফ দ্য ইয়ারও হয়েছেন মেসি। ভেঙেছেন অসংখ্য রেকর্ডও। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও মেসি।তাই যোগ্যতার ভিত্তিতেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ খরা কাটিয়ে ব্যালন ডি’অর জয় কেবল মেসিরই প্রাপ্য। এর আগে মেসি ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯, ২০২১ সালে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন মেসি।