এস এম জুবাইদ, পেকুয়া :
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালের সাড়া পড়েনি কক্সবাজারের পেকুয়ায়। হরতাল ডেকেও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদেরকে মাঠে দেখা না মিললেও দেখা মিলেছে হরতাল বিরোধী আ.লীগের নেতাকর্মীদেরকে। ২৯ অক্টোবর সকাল ৮ থেকে বিএনপি-জামাতের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল শুরু হয়। হরতালের এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি। যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং বিভিন্ন এলাকায় মোতায়ন রয়েছে পুলিশ।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,সকালে যানবাহন কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সিএনজি অটোরিকশা, টমটম, মালবাহী ট্রাকসহ নানা যানবাহন চলাচল করে। এতে চট্টগ্রামগামী কোন দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। মগনামা – কুতুবদিয়া চ্যানেলে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে খুলেছে দোকান পাট। উপজেলার কোথাও বিএনপি- জামাতের কোন নেতা কর্মীদের দেখা যায় নি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারপরও উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত।
এদিকে সকাল ১০ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেমের নেতৃত্বে বি এন পি – জামাতের অবৈধ হরতাল ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয় থেকে এক হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে চৌমুহনী চত্বরে গিয়ে শেষ করে। বেলা ১২ টায় একই ভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের কে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন করে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, যুগ্ম সম্পাদক মুফিজ, সদর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক এম কফিল উদ্দিন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম বলেন, বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি শনিবার ঢাকায় যে তান্ডব চালিয়েছে তা তাদের (বিএনপি-জামায়াত) পতনের অশনি সংকেত। কোনো অপশক্তি যাতে ফণা তুলতে না পারে সেজন্য বিষ দাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। এই প্রত্যয় নিয়ে আমরা মাঠে আছি এবং আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকব।
তিনি আরো বলেন, তারা গতকাল ঢাকায় সমাবেশের নামে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, পুলিশের গায়ে হাত তুলেছে, একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে হবে। তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না, পাল্টা জবাব দিতে হবে। তারা তাদের পুরোনো চেহারা জাতির সামনে গতকালের অগ্নিসন্ত্রাস আর হত্যার মধ্য দিয়ে আবারো তুলে ধরেছে। এদের বিরুদ্ধে রাজপথে মোকাবেলা হবে। এই নৈরাজ্যের হরতাল কেউ মানছে না। সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে চলছে। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, এ পর্যন্ত কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তারপরও পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়ন রয়েছে। এছাড়াও টহল পুলিশ ও মোবাইল টিমের পাশাপাশি সাদাপোশাকধারীরাও কাজ করছে।