সালেহ আহমদ (স’লিপক)সিলেট:
এখন চলছে চায়ের এখন ভরা মৌসুম। মার্চের শেষ দিক থেকে মুলত চা গাছে কুঁড়ি আসতে শুরু করে যা নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত পাতা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। আবার আগষ্টের পর উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। তবে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় জুলাই ও আগষ্ট মাসে।
বাংলাদেশ চা বোর্ড প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের তথ্যমতে, অগাষ্ট পর্যন্ত উৎপাদন ৫০ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে যাবে। অথচ ২০২২ সালের জুলাই মাসে উৎপাদন হয়েছিল ১১ দশমিক ২৭৬ মিলিয়ন কেজি। আর আগষ্টে হয়েছিল ১০ দশমিক ৭৬২ মিলিয়ন কেজি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানের চা শ্রমিক পারবতী গৌঢ় জানান, এখন বেশি বেশি পাতা তুলছেন। হাজরী এখন দুইটা হয়। তিনি বলেন, বুধবার পাতা তুলেছেন ৬৩ কেজি। এখন প্রতিদিন ৬৫ থেকে ৭৫ কেজি পাতা তুলতে পারেন।
এ সময় অপর চা শ্রমিক সাবিত্রী ভূইয়ার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, বুধবার পাতা তুলেছেন ৭০ কেজি। এক হাজরীতে ২৪ কেজি। যার জন্য পাবেন ১৭০ টাকা। এরপর প্রত্যেক কেজিতে তিনি অতিরিক্ত আরো ৫ টাকা করে পাবেন।
বাংলাদেশ চা গবেষনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন জানান, চলমান মৌসুমে চায়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১০২ মিলিয়ন কেজি। এই লক্ষমাত্রা নিয়ে তারা কাজ করছেন।
তিনি বলেন, চলমান চায়ের মৌসুমে জুন মাসে প্রথম দিকে চা শিল্প প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে পড়ে। বৃষ্টিপাত কম হয়। এই অবস্থা উত্তোরণে চা বোর্ড চেয়ারম্যানের নির্দেশে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয় এবং উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়। তিনি জানান, চলমান মৌসুমের লক্ষমাত্রা ধরে রাখতে সম্মিলিতভাবে তারা কাজ করছেন।
এ ব্যপারে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচাক ড. রফিকুল হক জানান, জুন পর্যন্ত মৌসুমের মোট উৎপাদন ২৬.৪৬২ মিলিয়ন কেজি।
জুলাই-আগষ্টে কমপক্ষে ২৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হবে এবং আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০২ মিলিয়ন কেজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে।