ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ দলীয় জোটের সমাবেশে যা বললেন শরিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ১৪ দল বুধবার (২ আগস্ট) দুপুর ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করেছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। এছাড়া জোটের অন্যান্য শরিক দলের প্রধানরা বক্তব্য রেখেছেন।

সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য এই ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। একযোগে ৬৪ জেলায় বোমা হামলা করা হয়েছিল। সেই আগস্ট মাস আবার ফিরে এসেছে। ২০১৩ সালে যখন সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছিল, তখন বিএনপির জামাত নির্বাচনের বানচালের নামে আগুন সন্ত্রাসী করেছিল। তখন তারা একজন দুইজন হয়, অন্তত দেড়শ মানুষকে মেরেছিল, পুড়িয়েছিল। সেই আলামত আবার আমরা আগস্ট মাসে দেখতে পাচ্ছি। তারা এখন জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতায় যেতে চায়। আজকে তাদের প্রভু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গতকাল দেখলাম মার্কিন রাষ্ট্রদূত নির্বাচন কমিশনে গেলেন এবং সেখানে জবাবদিহিতা দাবি করছেন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনারা সীমালঙ্ঘন করছেন এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।

 

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, আমরা জানি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যাদের বন্ধু তাদের শত্রুর অভাব হয় না। সেই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের উপর ভর করেছে বিএনপি। তারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে আমার দেশকে নস্যাৎ করতে চাচ্ছে। আমরা আজকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করছে না, আরও শক্তি আছে।

 

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বলেন, বিএনপি জামায়াত বাংলাদেশের শত্রু। স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার জন্য তাদের সকল অপকর্ম। তাই ১৪ দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী দিনের লড়াইয়ে শামিল হতে হবে এবং বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানকেও রক্ষা করতে।

 

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, যখন বাংলাদেশ উন্নত ও পরিণত ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিভিন্ন অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকে আজও তাদের ষড়যন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখেছে। তারা এ দেশে আবার গুম খুনের রাজনীতি বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা অগ্রজদের সঙ্গে রয়েছি। যেকোনো মূল্যে বিএনপি জামায়াতের এই অপশক্তির নীল নকশা আমরা প্রতিহত করব।

 

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, জাতীয় পার্টি জেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক রুবেল প্রমুখ।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪