নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
দীর্ঘ আড়াই মাস পর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) তালা ভেঙে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করলেন নেতাকর্মীরা। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টনের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন তারা।
বিদায়ী বছর ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ ছিল।
পল্টন অফিস খোলার পর বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে সেটি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। দলটির সিনিয়র এবং কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে বর্জন করলেও সরকারের বিরুদ্ধে আপাতত বড় কোনো কর্মসূচি দিচ্ছে না বিএনপি।
এদিকে, পল্টন অফিস খোলার খবরে বেশ উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা। তারা আশা করছেন, অফিস খুললে দলের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে এবং আরও বেশি জমে উঠবে।
অফিস খোলার পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, কার্যালয় ছিল আমাদের প্রাণ। দীর্ঘদিন পর কার্যালয় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারছি। এটি আমাদের জন্য একটি আনন্দের দিন। কেন্দ্রীয় কার্যালয় খোলার খবরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলটির নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে এসে জড়ো হন। তারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনন্দ প্রকাশ করেন।
যদিও এদিন কার্যালয়ের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে কোনো চেকপোস্ট বসাতে বা নিরাপত্তা টহল দিতে দেখা যায়নি।
বিএনপি কার্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নেতাকর্মীদের তালা খেলার চিত্র দেখে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন নিয়মিত চলাচল করা এক কর্মজীবী নারী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই নারী থাকেন মুগদার মান্ডা এলাকায়। তিনি কাজ করেন পল্টনে। বিএনপির অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতি করি না। একটা দলের কার্যালয় এতো দিন বন্ধ ছিল, এখন হঠাৎ করে খুলল। এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম, আগ্রহের বসে দাঁড়িয়ে দেখছি। সব দলেরই উচিৎ দেশের মঙ্গল কামনা করা। দেশের স্বার্থে সমস্যা হয় এমন কাজ কারোই করা উচিৎ না। আমরা সাধারণ মানুষ দেশকে স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল দেখতে চাই।