আন্তজার্তিক ডেস্ক :
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ নিশ্চিত করেছেন যে লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার উইসাম আল-তাবিলের হত্যার নেপথ্যে ছিল তার দেশ। ইসরাইল অবশ্য এই হত্যার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি। ওয়াইনেট মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
চ্যানেল ১৪-এ দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ লেবাননে রাদওয়ান বাহিনীর কমান্ডারকে হত্যার হামলাটির দায়দায়িত্ব আমরা নিচ্ছি। এটি যুদ্ধের অংশ। আমরা হিজবুল্লাহর অপারেটিভ, অবকাঠামো এবং সিস্টেমগুলোকে টার্গেট করছি।
তবে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) মুখপাত্র লে. কর্নেল ড্যানিয়েল হাগারি। তবে তিনি বলেন, ইসরাইলের উত্তর সীমান্তের হুমকি দূর করা তাদের প্রয়োজন, যাতে ইসরাইলিরা তাদের বাড়িঘরে ফিরতে নিরাপদে ফিরতে পারে।
সিনিয়র হিজবুল্লাহ কর্মকর্তা আল-তাবিলকে ইসরাইল হত্যা করেছে বলে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবরেও বলা হয়। সম্প্রতি তাকে হিজবুল্লাহর এলিট বাহিনী রাদওয়ান ফোর্সের কমান্ডার নিয়োগ করা হয়েছিল। ইসরাইলি হামলায় নিহত হওয়া হিজবুল্লাহর সবচেয়ে সিনিয়র কমান্ডার তিনি।
ইসরাইলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে আল-তাবিল ২০০০ সালের ৭ অক্টোবর মাউন্ট ডোভে এক গুপ্তহামলা চালিয়েছিল। এতে আইডিএফ কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ার আদি আভিটান, বেনিয়ামিন অ্যাভরাহাম এবং ওমর সাওয়াইদ নিহত হয়েছিলেন। তবে হিজবুল্লাহ তাদের লাশ নিয়ে গিয়েছিল। পরে বন্দী বিনিময়ের আওতায় তাদের লাশ ফিরিয়ে নেয় ইসরাইল।
আল-তাবিল ২০০৬ সালের জুলাই মাসে ইহুদ গোল্ডওয়াসের এবং ইলদাদ রেগেভকে অপহরণেও জড়িত ছিলেন। ওই ঘটনার পরই ইসরাইল দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধ শুরু করে। ২০২৩ সালের মার্চে ম্যাগডো হামলায় তিনি জড়িত ছিলেন বলে ইসরাইল দাবি করেছে।
দক্ষিণ লেবাননের সালিমে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলা করে আল-তাবিলকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে। স্থানটি ছিল ইসরাইল-লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার ভেতরে। ওই হামলায় আরেক ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন। তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তিনিও সম্ভবত হিজবুল্লাহর সদস্য। ইসরালি বাহিনী এর আগে লেবাননে হামলা চালিয়ে হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরোরিকে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, হামাসের সমর্থনে হিজবুল্লাহ ৮ অক্টোবর থেকে ইসরাইলে রকেট হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট