বিশেষ প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়া সদরের পাটিকাবাড়ীয়ার যুবক রবিজুল ইসলাম। তার ভাষ্য, মায়ের করা মানত পূরণ করতেই একে একে সাত বিয়ে করেছেন। স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে কোনো অশান্তি নেই। বাবা, সাত স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে দিব্যি সুখের সংসার তার। সাত স্ত্রীই তাকে খুব ভালোবাসেন। যত্ন নেন। নিজেকে ভাগ্যবান বলেও দাবি তার। সবশেষ স্ত্রী হিসেবে বাড়িতে আসেন মিতা।
কুষ্টিয়া সদরের পাটিকাবাড়ীয়ার যুবক রবিজুল ইসলাম। তার ভাষ্য, মায়ের করা মানত পূরণ করতেই এত বিয়ে করেছেন। স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে কোনো অশান্তি নেই।
প্রথম স্ত্রী ছাড়া অন্য স্ত্রীদের সঙ্গে রবিজুলের সামাজিক ও পারিবারিকভাবে জানাশোনার মাধ্যমেই বিয়ে হয়েছে।
সঙ্গী হিসেবে পেতে প্রত্যেককে তিনি জানিয়েছিলেন, তার ঘরে বউ আছে। আগের স্ত্রীদের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। রাখঢাক না রেখে খোলামেলা আলোচনায় পাত্রীরা রাজি হন। তবে আর বিয়ের পিড়িঁতে বসতে চান না তিনি।
রবিজুল ইসলামের স্ত্রীরা হলেন- রুবিনা, হেলেনা, নুরনাহার, স্বপ্না, বানু, জুঁই ও মিতা।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন প্রথম স্ত্রী রুবিনাকে। প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তান। দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই সন্তান ও তৃতীয় স্ত্রীর এক সন্তান। সবশেষ গেল তিন মাসেই ৩টি বিয়ে করেছেন রবিজুল।
প্রথম স্ত্রী রুবিনা খাতুন বলেন, বর্তমান যুগে যেখানে এক স্ত্রীকে নিয়েই অনেকে হিমশিম খান, যেখানে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটে অহরহ, সেখানে ৩৮ বছর বয়সী রবিজুলের জীবনযাপনে এমন হলেও বিপুল বিত্তবৈভব নেই তার। খুব বেশি ধনীও নন। তবে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকারের ব্যবসার আয় থেকে ভালোই চলে যাপিত জীবন। একের বেশি থাকা সত্ত্বেও তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই না করে মিলেমিশে থাকেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিয়ের আগেই আমরা জানতাম কে কততম বউ হচ্ছেন রবিজুলের। আমরা সবাই একসঙ্গে সুখের সংসার করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, ‘রবিজুল ইসলামের সাত বউ একই বাড়িতে একই ছাদের তলায় থাকেন। কখনই কারোর দুই কথা হয়েছে এমন ঘটনা দেখিনি। সবাই সবাইকে নিজের বোনের মতো মনে করে সংসার করেন তারা।