বিশেষ প্রতিবেদক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে বর্তমানে দলটি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত অনেকে বাদ পড়েছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভার তিনজন সদস্য বাদ পড়েছেন। এছাড়া বাদ পড়েছেন সাবেক মন্ত্রিসভার সদস্যরাও।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রংপুর বিভাগ থেকে বাদ পড়লেন যাঁরা
পঞ্চগড়–১ আসন থেকে বাদ পড়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান। তাঁর বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. নাঈমুজ্জামান ভূইয়া। ঠাকুরগাঁও–২ আসনে আলহাজ্ব মো. দবিরুল ইসলামের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. মাজহারুল ইসলাম। রংপুর–৫ আসনে এইচ এন আশিকুর রহমানের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন রাশেক রহমান। কুড়িগ্রাম–৩ আসনে এম এ মতিনের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে। কুড়িগ্রাম–৪ আসনে বাদ পড়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাঁর বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. বিপ্লব হাসান। গাইবান্ধা–৪ আসনে মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. আবুল কালাম আজাদ।
রাজশাহী বিভাগ থেকে বাদ পড়লেন যাঁরা
বগুড়া–৫ আসনে মো. হাবিবর রহমানের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. মজিবর রহমান মজনু। নওগাঁ-৩ আসনে মো. ছলিম উদ্দীন তরফদারের পরিবর্তে পেয়েছেন সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী। নওগাঁ-৪ আসনে মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রাং এর পরিবর্তে পেয়েছেন মো. নাহিদ মোর্শেদ; রাজশাহী-৩ আসনে মো. আয়েন উদ্দিনের পরিবর্তে পেয়েছেন মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ; রাজশাহী-৪ আসনে এনামুল হকের পরিবর্তে পেয়েছেন মো. আবুল কালাম আজাদ; রাজশাহী-৫ আসনে মো. মনসুর রহমানের পরিবর্তে পেয়েছেন মো. আব্দুল ওয়াদুদ; সিরাজগঞ্জ-২ আসনে মো. হাবিবে মিল্লাতের পরিবর্তে পেয়েছেন মোছা. জান্নাত আরা হেনরী; সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে তানভীর ইমামের পরিবর্তে পেয়েছেন মো. শফিকুল ইসলাম; সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে মেরিনা জাহানের পরিবর্তে পেয়েছেন চয়ন ইসলাম; পাবনা-৪ আসনে মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাসের পরিবর্তে পেয়েছেন গালিবুর রহমান শরীফ।
খুলনা বিভাগ থেকে বাদ পড়লেন যাঁরা
মেহেরপুর-২ আসনে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন আবু সালেহ মো. নাজমুল হক; ঝিনাইদহ-৩ আসনে মো. শফিকুল আজম খাঁনের পরিবর্তে পেয়েছেন মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী; যশোর-২ আসনে মো. নাসির উদ্দিনের পরিবর্তে পেয়েছেন মো. তৌহিদুজ্জামান; যশোর-৪ আসনে রনজিত কুমার রায়ের পরিবর্তে পেয়েছেন এনামুল হক বাবুল; মাগুরা-১ আসনে মো. সাইফুজ্জামান শিখরের পরিবর্তে পেয়েছেন সাকিব আল হাসান; বাগেরহাট-৪ আসনে মো. আমিরুল আলম মিলনের পরিবর্তে পেয়েছেন এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ; খুলনা-১ আসনে পঞ্চানন বিশ্বাসের পরিবর্তে পেয়েছেন ননী গোপাল মন্ডল; খুলনা-৩ আসনে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের পরিবর্তে পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন; খুলনা-৬ আসনে মো. আক্তারুজ্জামানের পরিবর্তে পেয়েছেন মো. রশীদুজ্জামান; সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পরিবর্তে পেয়েছেন মো. আসাদুজ্জামান বাবু; সাতক্ষীরা-৪ আসনে এস. এম. জগলুল হায়দারের পরিবর্তে পেয়েছেন এস এম আতাউল হক।
বরিশাল বিভাগ থেকে বাদ পড়লেন যাঁরা
বরগুনা-২ আসনে শওকত হাচানুর রহমানের (রিমন) পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন সুলতানা নাদিরা; বরিশাল-২ আসনে মো. শাহে আলমের পরিবর্তে পেয়েছেন তালুকদার মো. ইউনুস; বরিশাল-৪ আসনে পংকজ নাথের পরিবর্তে পেয়েছেন শাম্মী আহমেদ।
ঢাকা বিভাগ থেকে বাদ পড়লেন যাঁরা
টাংগাইল-৩ আসনে আতাউর রহমান খানের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. কামরুল হাসান খান; টাংগাইল-৪ আসনে মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁনের পরিবর্তে পেয়েছেন মো. মোজহারুল ইসলাম তালুকদার; টাংগাইল-৫ আসনে মো. ছানোয়ার হোসেনের পরিবর্তে মো. মামুন–অর–রশিদ; টাংগাইল-৮ আসনে মো. জোয়াহেরুল ইসলামের পরিবর্তে পেয়েছেন অনুপম শাহজাহান জয়; কিশোরগঞ্জ–২ আসনে নূর মোহাম্মদের পরিবর্তে পেয়েছেন আবদুল কাহার আকন্দ; মানিকগঞ্জ-১ আসনে এ. এম. নাঈমুর রহমানের পরিবর্তে পেয়েছেন মো. আব্দুস সালাম; ঢাকা-৫ আসনে কাজী মনিরুল ইসলামের পরিবর্তে পেয়েছেন হারুনর রশীদ মুন্না; ঢাকা-৭ আসনে হাজী মো. সেলিমের পরিবর্তে পেয়েছেন মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম; ঢাকা-১০ আসনে মো. শফিউল ইসলামের পরিবর্তে পেয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ; ঢাকা-১১ আসনে এ. কে. এম. রহমতুল্লাহর পরিবর্তে পেয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন; ঢাকা-১৩ আসনে মো. সাদেক খানের পরিবর্তে পেয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক; ঢাকা-১৪ আসনে আগাখান মিন্টুর পরিবর্তে পেয়েছেন মাইনুল হোসেন খান; গাজীপুর-৩ আসনে মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের পরিবর্তে পেয়েছেন রুমানা আলী; নরসিংদী-৩ আসনে জহিরুল হক ভূঞা মোহনের পরিবর্তে পেয়েছেন ফজলে রাব্বি খান; ফরিদপুর–১ আসনে মনজুর হোসেনের পরিবর্তে পেয়েছেন মো. আব্দুর রহমান; ফরিদপুর-৩ আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পরিবর্তে পেয়েছেন শামীম হক।
ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে বাদ পড়লেন যাঁরা
জামালপুর-১ আসনে আবুল কালাম আজাদের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন নূর মোহাম্মদ; জামালপুর-৪ আসনে মো. মুরাদ হাসানের পরিবর্তে পেয়েছেন মো. মাহবুবুর রহমান; জামালপুর-৫ আসনে মো. মোজাফফর হোসেনের পরিবর্তে পেয়েছেন মো. আবুল কালাম আজাদ; শেরপুর-৩ আসনে এ কে এম ফজলুল হকের পরিবর্তে পেয়েছেন এ ডি এম শহিদুল ইসলাম; ময়মনসিংহ-৩ আসনে নাজিম উদ্দিন আহমেদের পরিবর্তে পেয়েছেন নিলুফার আনজুম; ময়মনসিংহ-৫ আসনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের পরিবর্তে পেয়েছেন মো. আব্দুল হাই আকন্দ; ময়মনসিংহ-৯ আসনে আনোয়ারুল আবেদীন খানের পরিবর্তে পেয়েছেন আব্দুস সালাম; নেত্রকোনা-১ আসনে মানু মুজুমদারের পরিবর্তে পেয়েছেন মোশতাক আহমেদ রুহী; নেত্রকোনা-৫ আসনে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের পরিবর্তে পেয়েছেন আহমদ হোসেন।
সিলেট বিভাগ থেকে বাদ পড়লেন যাঁরা
সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন রনজিত চন্দ্র সরকার; সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয়া সেন গুপ্তার পরিবর্তে পেয়েছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ; সিলেট–৫ আসনে হাফিজ আহমদ মজুমদারের পরিবর্তে পেয়েছেন মাসুক উদ্দিন আহমদ; মৌলভীবাজার-৩ আসনে নেছার আহমদের পরিবর্তে পেয়েছেন মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান; হবিগঞ্জ-১ আসনে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের পরিবর্তে পেয়েছেন ডা. মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী; হবিগঞ্জ-২ আসনে মো. আব্দুল মজিদ খানের পরিবর্তে পেয়েছেন ময়েজ উদ্দিন শরীফ।
চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে বাদ পড়লেন যাঁরা
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে মোহাম্মদ এবাদুল করিমের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন ফয়জুর রহমান; কুমিল্লা-১ আসনে মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার পরিবর্তে পেয়েছেন মো. আবদুস সবুর; কুমিল্লা-৮ আসনে নাছিমুল আলম চৌধুরীর পরিবর্তে পেয়েছেন আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন; চাঁদপুর-১ আসনে ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীরের পরিবর্তে পেয়েছেন সেলিম মাহমুদ; চাঁদপুর-২ আসনে মো. নুরুল আমিনের পরিবর্তে পেয়েছেন মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী; নোয়াখালী-৬ আসনে আয়েশা ফেরদাউসের পরিবর্তে পেয়েছেন মোহাম্মদ আলী; চট্টগ্রাম-১ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পরিবর্তে পেয়েছেন মাহাবুব উর রহমান; চট্টগ্রাম-৪ আসনে দিদারুল আলমের পরিবর্তে পেয়েছেন এস এম আল মামুন; চট্টগ্রাম-১২ আসনে সামশুল হক চৌধুরীর পরিবর্তে পেয়েছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী; কক্সবাজার-১ আসনে জাফর আলমের পরিবর্তে পেয়েছেন সালাহ উদ্দিন আহমদ।