ই-পেপার | বুধবার , ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তাড়াহুড়ো তফসিল সংঘাত বাড়াবে, আশঙ্কা মঈন খানের

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা :

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘তাড়াহুড়ো করে একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা দেশে বিদ্যমান অত্যন্ত সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলবে।’ নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্তে বুধবার দুপুরে দেশ রূপান্তরকে তিনি এ কথা বলেন।মঈন খান বলেন, সরকারবিরোধী গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দল তাড়াহুড়ো করে এক তরফা তফসিল ঘোষণা না করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইতিমধ্যেই আহ্বান জানিয়েছে। এ অবস্থায় এটা স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, তাড়াহুড়ো করে নির্বাচনের তফসিলের যেকোনো একতরফা ঘোষণা দেশে বিদ্যমান অত্যন্ত সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল আর্থ-সামাজিক পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির আকাঙ্ক্ষাও চরমভাবে ব্যাহত হবে।

 

তিনি বলেন, আমরা দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্যে সব স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে পরামর্শসহ সকল পদক্ষেপের প্রশংসা করি। গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই বলে পুনর্ব্যক্ত করছে বিএনপি। একই সাথে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সংলাপের প্রয়োজন শুধুমাত্র সংলাপের জন্য নয়, বরং বর্তমান রাজনৈতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ এবং ন্যায়সঙ্গত উপায়ে সমাধান করার জন্য। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অপরিহার্য উপাদানগুলো হবে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে ‘আস্থা তৈরি’ ও ‘বিশ্বাস পুনরুদ্ধার’। যাতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যসহ দেশে একটি অনুকূল পরিবেশে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের জন্য ‘সমান খেলার’ ক্ষেত্র তৈরি করে অর্থবহ সংলাপ হতে পারে।’

 

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের উদ্দেশ্য। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই মুহূর্তে, আমাদের দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের থেকে শুরু করে আমাদের হাজার হাজার তৃণমূলের সদস্যরা কাল্পনিক মামলা এবং অকথ্য নির্যাতনের ফলশ্রুতিতে জেল/হাজতবন্দি। আমরা আন্তরিকভাবে চাই যে সরকার এই সহিংসতা এবং বিরোধী দলের ওপল জুলুমের পথ পরিহারের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করবে, দেশে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের সুবিধার্থে উপযুক্ত অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে- যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে।’