ই-পেপার | শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রামুতে মুজিববর্ষের ঘর পাচ্ছেন ১৯০টি পরিবার

নুর মোহাম্মদ:

রামু উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আশ্রয়ন -২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের হিমছড়ি কনফারেন্স রুমে মঙ্গলবার ( ৮অাগষ্ট) প্রেসব্রিফিং করেছেন রামু উপজেলা নির্বাহি অফিসার ফাহমিদা মোস্তফা। এসময় উপজেলা ভুমি কমিশনার নিরুপম মজুমদারসহ রামুর কর্মরত সংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসব্রিফিং এ বলা হয়েছে রামু উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ইতোপূর্বে ১ম পর্যায়ে ১৭৫ টি, ২য় পর্যায়ে ১৩০টি, ৩য় পর্যায়ে ৪০০টি, ৪র্থ পর্যায়ে ১৩২টিসহ ৮৩৭ টি গৃহ নির্মাণ করে ভূমি ও গৃহহীনদের হস্তান্তর করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত ৩২২টি ঘরের মধ্যে (গত ২২ মার্চ’২৩) ১৩২ টি ঘর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

প্রেস ব্রিফিং এ আরো উল্লেখ করা হয়েছে বুধবার (৯ অাগষ্ট) চতুর্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে রামু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১৯০টি ঘর উদ্বোধন করা হবে।

উদ্বোধন যোগ্য গৃহগুলো রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের হাজীর পাড়া এলাকায় ৭৩টি, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জুমছড়ি এলাকায় ৪০টি, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ৪০টি, রাজারকুল ইউনিয়নের চৌকিদার পাড়া এলাকায় ৩০টি এছাড়া জোয়ারিয়ানালার ঘোনারপাড়ায় ২টি, চৌধুরীপাড়ায় ১টি, হাসপাতালপাড়ায় ৪টি।

উল্লেখ্য যে, রামুতে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা থাকবে আর ৩৮টি।

 

আরো বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল বাঙ্গালী জাতি একটি উন্নত জীবন পাবে। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এত বিপুল সংখ্যক ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের মাঝে গৃহ প্রদান ইতিহাসে প্রথম এবং সর্ববৃহৎ উদ্যোগ। এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।

 

সরকার গৃহ প্রদানের পাশাপাশি নির্মিত গৃহে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছেন।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪