নিজস্ব প্রতিবেদক : আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মতো শতভাগ মুসলিম দেশ মালদ্বীপেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে ঈদুল ফিতর। যাতে সামিল হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় মালদ্বীপের বিভিন্ন দ্বীপে ছড়িয়ে থাকা মসজিদগুলোতে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানী মালেতে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় মাফানু স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ৭টায়। মালদ্বীপের জাতীয় মসজিদ মসজিদুল আল-সুলতান (গ্র্যান্ড মস্ক) জাতীয় মসজিদ এবং মসজিদুল আল-সালমান মসজিদে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। এছাড়াও ঈদের জামাতে অংশ নিতে মালদ্বীপের নূরু মিসকিন, ইব্রাহিম মিসকিন, হুকুরু মিসকিন (মসজিদে) প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পায়জামা-পাঞ্জাবিতে দলবদ্ধভাবে মসজিদে যান।
এদিকে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে মালদ্বীপে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁগুলোতে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় খাবারের আয়োজন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরা দলবদ্ধভাবে রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী দ্বীপ হোলেমালে ঘুরে ঈদের আনন্দ উপভোগ করছেন।
মালদ্বীপ প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদসহ সিআইপি মো. সোহেল রানা এবং বাংলাদেশি কমিউনিটি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ডক্টর’স প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
রাজধানী মালের আইকেয়ারে কর্মরত বাংলাদেশি মেডিকেল ডাক্তার মোক্তার আলী লস্কর বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল পেশার মানুষ সরকারি ছুটি উপভোগ করলেও ডাক্তার এবং নার্স এই দুই পেশার মানুষদের কোনো ছুটি নাই। ছুটির দিনগুলোতে পরিবার-পরিজন রেখে প্রবাসে ডিউটিতে যাওয়া যে কতটুকু কষ্টের তা বোঝানোর কোনো ভাষা নেই।
প্রবাসী ব্যবসায়ী মো. শাহেদ বলেন, বাবা-মাকে দেশের মটিতে রেখে প্রবাসে ঈদ উদযাপন করা কষ্টের মাঝে শান্তি খুঁজে পাই যখন দেখি পরিবার সুখে আছে।পেশাজীবী মো. আবু জাহের বলেন, প্রবাসের মাটিতে একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ঈদের আনন্দের অনুভূতির প্রকাশ পাই।
ডি .এন .নিউজ .এইচ .এম .সালাহ উদ্দীন কাদের