ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঝালকাঠির জাহাজে বিস্ফোরণের কারণ কার্বন মনোক্সাইড নিঃসরণ না করা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে রাখা সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ শনাক্ত করেছে উদ্ধারকারী সংস্থা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।

প্রাথমিকভাবে ইঞ্জিনরুমে অতিরিক্তমাত্রায় কার্বন মনোক্সাইডের উপস্থিতিকে দায়ী করা হচ্ছে। এর সঙ্গে যান্ত্রিক ত্রুটিও থাকতে পারে। তদন্তে পুরো বিষয় উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক ফিরোজ কুতুবী।

রোববার (২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা পোস্টকে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত জাহাজের গ্রিজার হৃদয়ের (২২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্ফোরণে জাহাজের যে অংশটি নদীতে পড়েছিল তার নিচে আটকে ছিল হৃদয়ের মরদেহ। অন্য নিখোঁজ তিনজনের সন্ধানে আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে বিস্ফোরণটি ছিল খুবই ভয়াবহ। উদ্ধারকারী সংস্থা হিসেবে আমরা মনে করছি, ইঞ্জিনরুমে প্রচুর পরিমাণে কার্বন মনোক্সাইড জমে গিয়েছিল। নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন ইঞ্জিনরুমের ভিতরকার বাতাস বের করে দেওয়া ও বাইরে থেকে বিশুদ্ধ বাতাস ভিতরে প্রবেশ করানো।

তিনি আরও বলেন, সাগর নন্দিনী-২ জাহাজটি ২৭ জুন ঝালকাঠিতে আসার পর তেল নামানোর অনুমতি না মেলায় সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে রাখা হয়। এদিন থেকে পরপর চারদিন ইঞ্জিন রুম খোলা হয়নি। ফলে সেখানে প্রচুর পরিমাণে কার্বন মনোক্সাইড জমে যায়। গত ১ জুলাই ইঞ্জিনরুমে বাতাস প্রবেশের জন্য জেনারেটর চালু করার সময় ইঞ্জিনের স্ফুলিঙ্গ পায় কার্বন মনোক্সাইড। এতে করে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।

ফিরোজ কুতুবী বলেন, কার্বন মনোক্সাইড হচ্ছে বিষাক্ত গ্যাস। যার ঘনত্ব বাতাসের তুলনায় কিছুটা কম। আগুন পেলে এ গ্যাস নিজেই পোড়ে। জাহাজটির পুরো ইঞ্জিনরুমে গ্যাসের উপস্থিতি থাকায় জেনারেটরের স্ফুলিঙ্গ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুরো রুমটিতে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়। এছাড়া সেখানে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১ জুলাই) বিকেলে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে থাকা সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন দগ্ধ হন এবং ৪ জন নিখোঁজ ছিলেন। এরমধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটিতে প্রায় ১০ লাখ লিটার জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল।

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: