ই-পেপার | শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানালেন চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর

মো: আমিন উল্লাহ টিপু

 

বিশ্বের সকল মুসলিম জাতীয়কে পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর। রমজান মাস উপলক্ষে চন্দনাইশ উপজেলার সকলের উদেশ্য বলেন আরবি মাসসমূহের নবম মাস হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রোজা হচ্ছে ইসলামের তৃতীয় স্তন্ত। রোজা শব্দটি ফারসি। এর আরবি পরিভাষা হচ্ছে সওম, বহুবচনে বলা হয় সিয়াম।সওম অর্থ বিরত থাকা, পরিত্যাগ করা। পরিভাষায় সওম হলো আল্লাহর সন্তুটি কামনায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়তসহকারে পানাহার থেকে বিরত থাকা।

 

রোজা ফরজ হয় দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে।এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি, যাতে তোমরা আল্লাহভীরু হতে পারো, পরহেজগার হতে পারো। এ আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি, রোজার বিধান দেওয়া হয়েছে তাকওয়া অর্জনের জন্য, গুনাহ বর্জন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জান্নাতের উপযোগী হওয়া, নিজেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য।

 

রমজানের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, আল্লাহ তাআলা এ মাসটিকে স্বীয় ওহি সহিফা ও আসমানি কিতাব নাজিল করার জন্য মনোনীত করেছেন।অধিকাংশ কিতাব এ মাসেই নাজিল হয়েছে। রোজা রেখে সর্ব প্রকার গুনাহ বর্জনের অঙ্গীকার করতে হবে।

 

রোজার মাসে শুরুতে আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেন, জান্নাতের দরজা খুলে দেন এবং শয়তানকে শিকলবদ্ধ করে রাখেন। তাই শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়। নেক কাজে অগ্রগামী হতে পারে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কালামের অনেক জায়গায় শয়তানকে মানুষের প্রকাশ্য শত্রু বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, শয়তান তোমাদের শত্রু, তাকে শত্রু হিসেবেই গ্রহণ করো। সে চায় মানুষের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করা, মদ-জুয়ায় নিমগ্ন করা, মিথ্যা বলায় উদ্বুদ্ধ করা, এককথায় খারাপ কাজে জড়িয়ে দেওয়া। তাই হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা কথা ও তৎসংক্রান্ত কাজ পরিত্যাগ করল না, তার রোজা রাখার আমার কোনো প্রয়োজন নেই। তাই শয়তানি কার্যক্রম থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে এবং আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে।

 

রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল পাক (সা.) ইরশাদ করেন, রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে, একটি তার ইফতারের সময়, অপরটি হলো আল্লাহ তাআলার দিদার বা সাক্ষাতের সময়। হাদিসে আরও উল্লেখ রয়েছে, ইফতারের সময় দোয়া কবুলের সময়। আল্লাহ তায়ালা বান্দার দোয়া কবুল করেন।আর এই সময়ের দোয়া হচ্ছে ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতি ওয়াসিয়াত কুল্লা শাইয়িন আন তাগফিরা লি জুনুবি।

 

আমারা সকল ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাহে রমজানের পবিত্রা রক্ষা করতে হবে। গরীব দু:ক্ষিদের খোঁজ খবর নিতে হবে,তাদের কষ্ট লাগবের জন্য তাদের প্বার্শে থাকে তাদের ভাগ্য উন্নয়ন করতে উন্নয়ন মূলক কাজ করতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

 

আমি সবসময়ই গরীব দু:ক্ষী দের প্বার্শে ছিলাম,আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ।আমি আল্লাহর রহমতে আমার প্রিয় চন্দনাইশ বাসীর ভাগ্যউন্নয়ন এর জন্য কাজ করতে চাই আপানারা আমাকে একটি ভার সে সূযোগ করে দিন, আমি আপনাদেরকে সাথে নিয়ে মিলেমিশে কাজকরে চন্দনাইশ উপজেলাকে একটি আদর্শ উপজেলা হিসেবে তৈরী করবো। ‘সর্বপুরি তিনি বলেন মাহে রমজান যেনো সবাইকে আল্লাহর পথে চলার তৈফিক দান করেন।