ই-পেপার | শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কর্মীদের খিচুড়ি খেতে টাকা দিলেন নিক্সন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর

ফরিদপুর–৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর একটি নির্বাচনী সভা শেষে কর্মীদের টাকা দিচ্ছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর–৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর একটি নির্বাচনী সভা শেষে কর্মীদের খিচুড়ি খাওয়ার জন্য নগদ টাকা দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাঙ্গা থানা সংলগ্ন এলাকায় টেম্পু স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে দলের কর্মীদের এ অর্থ প্রদান করেন নিক্সন চৌধুরী।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিওতে দেখা যায় বক্তব্যের শেষের দিকে নিক্সন চৌধুরী বলছেন, ‘আগামী শনিবার ভাঙ্গার আলগীতে আপনারা একটা বড় শোডাউন করবেন। কিন্তু নির্বাচনের আচরণবিধির জন্য আমরা আপনাদের কিছু বলতে পারতেছিনা। তবে আপনারা খিচুড়ি খাবেন, সে ব্যবস্থা আমি করে দিতে পারি।’

 

একথা বলার পরে নিক্সন চৌধুরী তাঁর পাশে দাড়ানো সোনাখোলা গ্রামের নজরুল শিকারীর হাতে পকেট থেকে নগদ টাকা বের করে তাঁর হাতে দেন। এ সময় তাঁর পাশে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবিব উপস্থিত ছিলেন।

 

এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে তথ্য প্রমাণসহ কেউ অভিযোগ দিলে আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আচরণ বিধিমালার ১(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানে চাঁদা, অনুদান, ইত্যাদি প্রদান নিষিদ্ধ। কোনো প্রার্থী কিংবা তাহার পক্ষ হইতে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন–পূর্ব সময়ে উক্ত প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকায় বসবাসকারী কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা উক্ত এলাকা বা অন্যত্র অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো প্রকার চাঁদা বা অনুদান প্রদান করিতে বা প্রদানের অঙ্গীকার করিতে পারিবেন না।’

 

এছাড়া আচরণ বিধির ১৮ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।-(১) কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’