আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ১০৯ জনে দাঁড়িয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে। আর ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন কয়েকশ ফিলিস্তিনি। খবর আল জাজিরার। শুক্রবার সকাল থেকে গাজায় ইসরায়েলি সেনারা আবাসিক এলাকা এবং শরণার্থী শিবির লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ শুরু করে। এদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত হামাস-ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি ছিল।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণে দুই শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। দক্ষিণের খান ইউনিস ও রাফাহ শহরে হামলা হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ গাজায় লিফলেট ফেলে লোকজনকে আশপাশের এলাকায় চলে যেতে বলেছে। যদিও দক্ষিণ গাজায় হামলা চলছেই। এর মাধ্যমে ইসরায়েল হামলা বাড়ানোর ইঙ্গিত দেয়।
৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ১ হাজার ২০০।
শুক্রবার ফের হামলা শুরুর পর থেকে কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র রয়টার্সকে এ খবর জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতির সপ্তম দিন ছিল বৃহস্পতিবার। দেড় মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পর গেল ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। প্রথম দফার পর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুই দিন বাড়াতে একমত হয় দুই পক্ষ। এরপর গত মঙ্গলবার শুরু হয় আরও দুই দিনের যুদ্ধবিরতি। এটি শেষ হয় বুধবার।
এরপর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে আলোচনা চালিয়ে যায় মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসর। পরে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ এক দিনের জন্য বাড়ে।