পেকুয়া উপজেলা প্রতিনিধি:
খানাখন্দকে ভরপুর চেপ্টাখালী জমজম সেতু-চরপাড়া স্লুইচ গেইট সড়ক। এটি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার পাশ্ববর্তী
চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে। এই সড়কটিতে দীর্ঘ ২০ বছরও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সিকদার পাড়া স্টেশন থেকে লালব্রীজ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কি.মি গ্রামীন এ সড়কটি দেড় যুগেরও বেশি সময় সংস্কার বঞ্চিত অবস্থায় পড়ে আছে। এক সময় এসড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল হতো। কালের বিভত্নে হারিয়ে যাচ্ছে এ সড়কটি। এখন অসংখ্য খানাখন্দকে ভরপুর হয়ে গিয়েছে। সড়কের লন্ডভন্ড অবস্থার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। ফলে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দুই ওয়ার্ডের অন্তত ১০ হাজার মানুষ। আড়াই কিলোমিটার সড়কের প্রায় এক কি.মি মেকাডম আর দেড় কি.মিটারের কাছাকাছি ব্রিক সলিন। এ সড়কে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সিকদার পাড়া তিন রাস্তার মাথা থেকে লতাবুনিয়া তিন রাস্তা পর্যন্ত প্রায় এক কি.মি সড়কে কংকর ও ইটের খোয়া ওঠে গেছে। লতাবুনিয়া তিন রাস্তার মাথা থেকে লাল ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক ব্রিক সলিন। ২০-৩০ মিটার পরপর সড়কের ইটগুলো সরে গেছে। দু’চাকার গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে কোন রকম চলছে। পায়ে হেঁটেই এ সড়ক পার হতে হয় স্থানীয়দের।
স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রহিম বলেন, দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দার চলচলের মাধ্যম হচ্ছে এ সড়কটি। তিনি আরো বলেন দিয়ারপাড়া, খাতুর বাপের পাড়া,লতাবুনিয়া পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, হাসান আলী পাড়া, মৌলভী পাড়া, জমজম ব্রিজ পাড়াসহ আরো কয়েকটি পাড়ার প্রায় ১০ হাজার মানুষ এসড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। ২০ বছর আগে সড়কটি বাস্তবায়ন হয়েছিল। এরপর কোন ধরনের উন্নয়নের ছোঁয়া দেখেনি আমরা।
৪নং ওয়ার্ডের সদস্য বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, সাতটি গ্রামের মানুষের দুর্দশার শেষ নেই। ২০বছর ধরে সড়কের সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ জমেছে স্থানীয়দের। আমরা প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছি বার বার। রাস্তার কিছু অংশ মেকাডম পর্যন্ত করে উধাও হয়েছে ঠিকাদার।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুল আলম, বদিউল আলম,নেছার উদ্দিন বলেন,কুলসুম নাহার সরকারি প্রাথমিক, দারুল এরফান এবতেদায়ী মাদরাসা, মধ্যম কোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আহমদিয়া হাফেজখানা, কোনাখালী হেদায়তুল উলুম দাখিল মাদরাসা,সিকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের এক মাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এ সড়কটি। সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের। জনপ্রতিনিধিদের এ সড়ক নিয়ে তেমন মাথা ব্যাথাও নেই। আমরা সড়কের সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের শিক্ষার্থী মো.জিসান, আবু সাঈদ, পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদরাসার শিক্ষার্থী রিমা জান্নাত বলেন,আমরা দুই কি.মি পায়ে হেঁটে গাড়িতে ওঠে কলেজে যাই। সড়কের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমাদের মতো অসংখ্য শিক্ষার্থী কলেজ,মাদরাসায় পড়ালেখা করছে।
আমাদের একমাত্র ভরসা এ সড়ক।শুধুমাত্র সড়কটির কারণে দুই কি.মিটার পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে । বর্ষায় আমাদের কষ্টের সীমা থাকেনা। আমরা সড়কের উন্নয়ন চাই।
কোনাখালী ইউপির চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন,আসলে দীর্ঘ সময় সড়কটির কোন ধরনের উন্নয়ন হয়নি। সড়কটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। শুনেছি এক কোটি টাকার বাজেট হয়েছে। শিগগিরই সড়ক সংস্কার বাস্তবায়ন হবে।
স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নাই বলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।